Breaking News: ধর্ষনের দায়ে সাড়ে চার বছরের কারাদণ্ড, প্রাক্তন ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার এবং মেসির প্রাক্তন সতীর্থের

২০২২ সালের ডিসেম্বরে বার্সেলোনার একটি নাইটক্লাবে এক নারীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে তাকে আটক করা হয়।

ফুটবল বিশ্বকে নাড়িয়ে দিয়ে বড় খবর উঠে আসছে ব্রাজিলের সর্বকালের অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার দানি আলভেসকে (Dani Alves) নিয়ে। ২০২২ সালে বার্সেলোনার একটি নাইটক্লাবে এক নারীকে যৌন নিপীড়নের দায়ে বৃহস্পতিবার তাকে দোষী সাব্যস্ত করে সাড়ে চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে কাতালোনিয়ার সর্বোচ্চ আদালত। আদালত আলভেসকে ভুক্তভোগীকে দেড় লাখ ইউরো (১ কোটি ৩৫ লাখ ১২ হাজার ৬৮৫ রুপি) ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। সাজা ঘোষণার সময় লজ্জায় আলভেসের মুখ কাত হয়ে যায়। তিনি শান্ত ছিলেন এবং তার মুখ ফ্যাকাশে ছিল।

আদালত বলেন, “এটা প্রমাণিত হয়েছে যে ভিকটিম সম্মতি দেয়নি এবং ধর্ষণ প্রমাণ করার জন্য প্রমাণ রয়েছে। আলভেস জানিয়েছিলেন, যৌন সম্পর্ক ছিল সম্মতিক্রমে। নির্যাতিতার পক্ষ ৯ বছরের কারাদণ্ড চেয়েছিল। ৪০ বছর বয়সী সাবেক বার্সেলোনা ডিফেন্ডারকে গত বছরের জানুয়ারিতে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তখন থেকেই তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, এটি স্পেনের অন্যতম হাই-প্রোফাইল মামলা। ২০২২ সালে পাস হওয়া একটি আইন যৌন নিপীড়নের মামলায় সম্মতিকে একটি প্রধান ভিত্তি করে তুলেছে। শুধু তাই নয়, এই হিংসার সঙ্গে যুক্ত হামলার জন্য ন্যূনতম জেলের মেয়াদও বাড়ানো হয়েছে। উল্লেখ্য, একদিকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা (Champions League), বিশ্বকাপ (FIFA World Cup) আর বিশাল ব্যক্তিগত সম্মানে দানির ক্যারিয়ার ঝলমলে হয়ে গেছে, অন্যদিকে যৌন হয়রানির মতো জঘন্য অপরাধও রয়েছে, যা তার পুরো ক্যারিয়ারকে কলঙ্কিত করেছে।

২০২২ সালের ডিসেম্বরে বার্সেলোনার একটি নাইটক্লাবে এক নারীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে তাকে আটক করা হয়। এ ঘটনার পর তাকে ক্লাব থেকে বহিষ্কার করা হয় এবং ব্রাজিল জাতীয় দল থেকেও বহিষ্কার করা হয়। আলভেস এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করলেও এখন সেই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।

২০০১ সালে ক্যারিয়ার শুরু করা দানি আলভেস ব্রাজিল, স্পেন, ফ্রান্স, ইতালি ও মেক্সিকোর মতো বড় ক্লাবের হয়ে খেলেছেন। সেভিয়া, বার্সেলোনা, জুভেন্টাস ও প্যারিস সেইন্ট জার্মেইয়ের (পিএসজি) মতো জায়ান্টদের হয়ে খেলে জিতেছেন ৪৩টি শিরোপা, যা পেশাদার ফুটবলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। তার আক্রমণাত্মক শৈলী, দুর্দান্ত পাসিং এবং গোল করার ক্ষমতা তাকে বিশ্বজুড়ে ফুটবল ভক্তদের প্রিয় করে তুলেছিল।