১৮ বছরের ক্যারিয়ারে ইতি টানলেন এযুগের শ্রেষ্ঠ‌ আম্পায়ার, নিউজিল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে দাঁড়িয়েছেন শেষবার

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আম্পায়ার হিসাবে দীর্ঘদিন মারাইস ইরাসমাস সম্মানের সঙ্গে নিজের কার্যক্রম চালিয়ে গেছেন। এর সঙ্গেই তিনি অজস্র ক্রিকেটার সহ ভক্তদের সম্মান ও ভালোবাসা পেয়েছেন।

একটি ক্রিকেট ম্যাচ ভালোভাবে পরিচালনা করার জন্য আম্পায়াররা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন। ফলে ক্রিকেটারদের সঙ্গে তাদের ভিন্নরকম সম্পর্ক তৈরি হয়ে যায়। আম্পায়াররাও ক্রিকেটারদের মতো খেলার প্রতিটি অংশ আপন করে নেন। এবার অভিজ্ঞ দক্ষিণ আফ্রিকান আম্পায়ার মারাইস ইরাসমাস (Marais Erasmus) আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের শেষ ম্যাচ পরিচালনা করতে চলেছেন।

প্রথম জীবনে মারাইস ইরাসমাস বোল্যান্ড ক্রিকেট দলের হয়ে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ক্রিকেটার হিসাবে যাত্রা শুরু করেন। তারপর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আম্পায়ার হিসাবে দীর্ঘদিন তিনি সম্মানের সঙ্গে নিজের কার্যক্রম চালিয়ে গেছেন। এর সঙ্গেই ইরাসমাস অজস্র ক্রিকেটার সহ ভক্তদের সম্মান ও ভালোবাসা পেয়েছেন। ২০০৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে ওয়ান্ডারার্সে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে একটি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তিনি আম্পায়ার হিসাবে অভিষেক করেন।

এরপর দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে মারাইস ইরাসমাস পুরুষদের ৮০ টি টেস্ট, ১২৪ টি একদিনের ও ৪৩ টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে এবং মহিলাদের ১৮ টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে তিনি আম্পায়ারের দায়িত্ব সামলেছেন। এরপর গতবছর অক্টোবরে তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আম্পায়ারের দায়িত্ব থেকে অবসরের ঘোষণা করেছিলেন। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের (Australia vs New Zealand Test Series) মধ্যে চলমান টেস্ট সিরিজ তার জীবনের শেষ আম্পায়ারিং করার স্মৃতি হয়ে থাকবে। উল্লেখ্য ইরাসমাস ২০১৬, ২০১৭ এবং ২০২১ সালে তিনবার আইসিসি বছরের সেরা আম্পায়ারের পুরস্কার জিতেছিলেন।

আজ থেকে শুরু অস্ট্রেলিয়া বনাম নিউজিল্যান্ডের টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচের আগে ক্রিকবাজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মারাইস ইরাসমাস বলেন, “আম্পায়ার হিসাবে এই সুযোগ-সুবিধা এবং এক দেশ থেকে অন্য দেশে ঘুরে বেড়ানো আমার খুব মনে পড়বে। আমার স্বাভাবিক জীবনযাত্রার থেকে এই জীবন কাটানো খুবই অন্যরকম ছিল। আমার মনে হয় এর বাইরে আমি একঘেয়ে জীবনযাত্রাই খুঁজতে চেয়েছিলাম।” অন্যদিকে ইরাসমাস শুধু মাঠের মধ্যে নয় মাঠের বাইরেও তিনি বিভিন্ন অবদান রেখে গেছেন। অবসর গ্রহণের পর তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরোয়া ক্রিকেটে আসন্ন আম্পায়ারদের পরামর্শদাতা হিসাবে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন।