ভেঙে গেল রোহিতের দ্রুততম টি-২০ শতরানের রেকর্ড, ৩৩ বলে সেঞ্চুরি করলেন নামিবিয়ার এই অখ্যাত ব্যাটসম্যান

ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা, ডেভিড মিলার, সুদেশ বিক্রমশেখর ৩৫-৩৫ বলে সেঞ্চুরি করার রেকর্ড গড়েছিলেন, যা ভেঙেছিলেন কুশল মাল্লা।

বিশ্ব ক্রিকেট একাধিক নায়কে পূর্ণ এবং এখানে রেকর্ডগুলি তৈরি হয়ই কোন না কোন সময়ে ভাঙ্গার জন্য। আজ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড ভেঙে গেছে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড ভাঙলেন নামিবিয়ার জন নিকোল লফটি-ইটন (Jan Nicol Loftie Eaton)। নেপালে ত্রিদেশীয় সিরিজের উদ্বোধনী ম্যাচে এই কৃতিত্ব অর্জন করলেন তিনি।

নেপালের বিপক্ষে ৩৩ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। এর ফলে এক বলের ব্যবধানে ভেঙে যায় নেপালের কুশল মাল্লার (Kushal Malla) রেকর্ড। লফটি-ইটন তার ইনিংসে ৩৬ বলে ১০১ রান করেন, যার মধ্যে ১১টি চার ও ৮টি ছক্কা ছিল। এই ইনিংসে তিনি করেন মাত্র বাউন্ডারি থেকে ৯২ রান। টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিকে বাউন্ডারি থেকে কোনো ব্যাটসম্যানের এটাই সবচেয়ে বেশি রান।

হাংজু এশিয়ান গেমস-২০২৩ নেপালের হয়ে খেলার সময় মঙ্গোলিয়ার বিরুদ্ধে এই কৃতিত্ব করেছিলেন মাল্লা। ওই ম্যাচে নেপাল করেছিল ৩ উইকেটে ৩১৪ রান। এই একই ম্যাচে দিপেন্দ্র সিং আইরি ৯ বলে দ্রুততম টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন। ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা (Rohit Sharma), ডেভিড মিলার, সুদেশ বিক্রমশেখর ৩৫-৩৫ বলে সেঞ্চুরি করার রেকর্ড গড়েছিলেন, যা ভেঙে দেন কুশল।

জনের ম্যাচের কথা বলতে গেলে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১১তম ওভারে ৩ উইকেটে ৬২ রান তোলে নামিবিয়া। এ সময় লফটি ইটন ব্যাট করতে এসে প্রথম ছয় বল মোকাবেলা করে দুটি ছক্কা ও একটি চার মেরে ১৮ বলে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। মালান ক্রুগারের সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে ৫২ বলে ১৩৫ রানের জুটি গড়ে নামিবিয়াকে ৪ উইকেটে ২০৬ রানে নিয়ে যান তিনি।

ওপেনার ক্রুগার ৪৮ বলে ৫৯ রানে অপরাজিত থাকেন এবং ৩৩ বলে সেঞ্চুরি করা জন বোহরার বলে আউট হন। অন্যদিকে বোলিংয়েও চমক দেখিয়েছেন লাফি-ইটন, ৩ ওভারে ২৯ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। ১৯তম ওভারে ১৮৬ রানে অলআউট হয়ে যায় নেপাল। ফলে ২০ রানে ম্যাচ জিতে নেয় নামিবিয়া।