অন্ধ্রপ্রদেশ ক্রিকেটে রাজনৈতিক প্রভাব, অধিনায়কত্ব ছাড়তে বলা হল বিহারীকে, রাগে, অপমানে ছেড়ে দিলেন দলই

ভারতীয় ক্রিকেটে বারবার রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের হস্তক্ষেপ লক্ষ্য করা গেছে। এবার ঘরোয়া ক্রিকেটেও রাজনৈতিক প্রভাবের অভিযোগ উঠে এলো। ভারত তথা অন্ধ্রপ্রদেশের অন্যতম ক্রিকেটার হনুমা বিহারী (Hanuma Vihari) আজ সোশ্যাল মিডিয়ায় এই অভিযোগ আনেন। এর সঙ্গেই অন্ধ্রপ্রদেশের হয়ে আর খেলবেন না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন।

এই বছর রঞ্জি ট্রফির (Ranji Trophy) কোয়ার্টার ফাইনালে অন্ধ্রপ্রদেশ মাত্র ৪ রানে মধ্যপ্রদেশের (Andhrapradesh vs Madhyapradesh Match) বিপক্ষে হারের সম্মুখীন হয়েছে। অন্যদিকে এই টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে অন্ধ্রপ্রদেশের হয়ে বাংলার বিপক্ষে হনুমা বিহারী অধিনায়কত্ব করেছিলেন। কিন্তু তার পরবর্তী ম্যাচ থেকে রিকি ভুইকে (Ricky Bhui) নেতৃত্ব দিতে দেখা যায়। অন্যদিকে এবার রঞ্জি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালে হারের পর নিজের অফিসিয়াল ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে হনুমা বিহারী তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে অন্ধ্রপ্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (ACA) বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আনলেন।

তিনি পোস্ট করে লেখেন,”আমরা শেষ অবধি কঠোর লড়াই করেও অন্ধ্রপ্রদেশের হয়ে আরও একটি কোয়ার্টার ফাইনালে হারের সম্মুখীন হয়েছি। আমি এই পোস্টের মাধ্যমে কিছু তথ্য সামনে আনতে চাই। বাংলার বিরুদ্ধে প্রথম খেলায় আমি অধিনায়ক ছিলাম সেই ম্যাচের সময় ১৭ তম ক্রিকেটারের ওপর চিৎকার করেছিলাম এবং সে তার বাবার কাছে অভিযোগ করেছিল যিনি একজন রাজনীতিবিদ। তার বাবা অ্যাসোসিয়েশনকে আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছিলেন।”

তিনি আরও লেখেন, “আমার কোনো দোষ ছাড়াই আমাকে অধিনায়কত্ব থেকে ইস্তফা দিতে বলা হয়। আমি কখনোই ক্রিকেটারকে ব্যক্তিগতভাবে কিছু বলিনি। কিন্তু অ্যাসোসিয়েশন ভেবেছিল যে ওই ক্রিকেটার এই ক্রিকেটারের থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ যে কঠিন লড়াই চালিয়ে ৭ বছরে অন্ধ্রকে ৫ বার নক আউটে নিয়ে গেছে এবং ভারতের হয়ে ১৬ টি টেস্ট খেলেছে। আমি অপমানিত এবং বিব্রত বোধ করেছি কিন্তু আজ অবধি তা প্রকাশ করিনি। কিন্তু এবার আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আর কখনই অন্ধ্রের হয়ে খেলবো না যেখানে আমি আমার আত্মসম্মান হারিয়েছি।”

অন্যদিকে এরপর অভিযোগ ওঠা প্রুধ্বী রাজের (Prudhvi Raj) প্রতিক্রিয়া সামনে এসেছে। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে লেখেন, “আপনারা যা শুনেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা‌। কেউ খেলার চেয়ে বড়ো নয়। আমার আত্মসম্মান যে কোনও কিছুর চেয়ে অনেক বেশি বড়ো। কোনো সামাজিক মঞ্চে ব্যক্তিগত আক্রমণ এবং অশ্লীল ভাষা কোনওভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। সবাই জানে সেদিন কী হয়েছিলো। আপনি যদি এই সহানুভূতির খেলা খেলতে চান খেলুন (হাসি)।”