ভারতে ক্রিকেটের সঙ্গে সঙ্গে ফুটবলকে নিয়েও উন্মাদনা লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভারতীয় ফুটবলের মান অনেকটাই নিম্নগামী। এর ফলে কর্মকর্তারা ঘরোয়া ফুটবলকে উন্নত করার জন্য সব রকমের প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। রাজ্য স্তরের একাধিক প্রতিযোগিতার মাধ্যমে তারা প্রান্তীয় অঞ্চল থেকে প্রতিভাবান ফুটবলারদের তুলে এনে ভারতীয় ফুটবলে বিপ্লব ঘটাতে চাইছেন। এবার এর মধ্যেই উত্তরপ্রদেশ সরকার ফুটবলে উন্নয়নের জন্য একাধিক পদক্ষেপ নিতে চলেছে।
গত ২ সেপ্টেম্বর মোহনবাগান ইস্টবেঙ্গলের বিপক্ষে লখনউয়ের কেডি সিং বাবু স্টেডিয়ামে মাঠে নামে। ম্যাচটি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের তত্ত্বাবধানে আয়োজন করা হয় এবং প্রধান উদ্দেশ্য ছিল ফুটবলের প্রতি তরুণ প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করা। উল্লেখ্য এই ম্যাচ পূর্ণ সময় ১-১ গোলে ড্র হওয়ার পর পেনাল্টি শুটআউটে মোহনবাগান লাল হলুদের হারিয়ে জয় তুলে নেয়। উল্লেখ্য উত্তরপ্রদেশ সরকার মোহনবাগান বনাম ইস্টবেঙ্গলের বড়ো ম্যাচের জন্য কেডি সিং বাবু স্টেডিয়ামকে মাত্র ১৯ দিনের মধ্যে নতুন করে সাজিয়ে তোলে।
এবার উত্তরপ্রদেশ সরকার তাদের রাজ্যকে দেশের মধ্যে ফুটবলের অন্যতম কেন্দ্রভূমি বানাতে চলেছে। মোহনবাগান বনাম ইস্টবেঙ্গল ম্যাচে উপস্থিত থাকার পর মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ জানিয়েছেন রাজ্যে ফুটবল পরিকাঠামোতে বিপুল পরিবর্তন আনা হচ্ছে। উত্তরপ্রদেশে ১৮টি বড়ো ফুটবল স্টেডিয়ামের সঙ্গে সঙ্গে প্রতিটি ব্লকে ৮২৭ টি ফুটবল মাঠ প্রস্তুত করা হবে। এই মাঠ এবং স্টেডিয়ামগুলি আরও নতুন ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন করার জন্য উৎসাহ প্রদান করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেন, “আমি উত্তরপ্রদেশ সরকার এবং রাজ্যের জনগণের পক্ষ থেকে মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গল দলকে আন্তরিক স্বাগত জানাতে চাই। এটা আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। এই মর্যাদাপূর্ণ ম্যাচটি প্রথমবারের মতো আমাদের রাজ্যের রাজধানী লখনউতে খেলা হচ্ছে।প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্যোগে ‘খেলো ইন্ডিয়া’ সফল হয়েছে। তার দৃষ্টিভঙ্গি দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে উত্তরপ্রদেশ নিজেকে এই মিশনের সাথে যুক্ত করেছে।”