তরুণ ব্যাটসম্যান রিঙ্কু সিং নিজের ব্যাট হাতে কী করতে পারেন, তা কারও কাছেই গোপন নয়। টি-টোয়েন্টি ম্যাচের শেষ ৫ বলে ৫টি ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে জিতিয়েছিলেন তিনি। ভারতের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে রিঙ্কুর গড় ৬০ এবং স্ট্রাইক রেট ১৭৫। রিঙ্কু সিং, যিনি ব্যাট হাতে নিজের ক্ষমতার প্রমাণ দিয়েছেন, বোলিংয়েও এবার ছাপ রেখে যাচ্ছেন। ইউপি টি-টোয়েন্টি লিগের আগে শ্রীলঙ্কা সফরে ১৯তম ওভারে বোলিং করে যে আত্মবিশ্বাস পাওয়া গিয়েছিল, তা কাজে লাগাচ্ছেন রিঙ্কু।
ইউপি টি-টোয়েন্টি লিগের ২০তম ম্যাচে কানপুর সুপারস্টার্সের মুখোমুখি হয়েছিল মিরাট ম্যাভেরিক্স। বৃষ্টিবিঘ্নিত এই ম্যাচে জয়ের জন্য কানপুরের সামনে ৯ ওভারে ১০৬ রানের টার্গেট ছিল। ৫ ওভার শেষে কানপুরের স্কোর তখন ৩ উইকেটে ৬১। মিরাটের হয়ে ষষ্ঠ ওভার বল করেন অধিনায়ক রিঙ্কু সিং। প্রথম বলেই চার মারেন শৌর্য সিং। কিন্তু দ্বিতীয় বলে ফিরে বাঁহাতি ব্যাটসম্যান শৌর্যকে প্যাভিলিয়নে পাঠান রিঙ্কু।
পরের দুই বলে রিঙ্কুর বিপক্ষে মাত্র এক রান করতে সক্ষম হন ব্যাটসম্যানরা। ওভারের পঞ্চম বলে ক্রিজ থেকে বেরিয়ে এসে রিঙ্কুকে আক্রমণ করার চেষ্টা করেন ব্যাটসম্যান আদর্শ সিং। রিঙ্কু প্রস্তুত ছিলেন এবং তিনি বলটি লেগ সাইডে ফেলেন। ব্যাটসম্যানরা মিস করেন এবং উইকেটরক্ষক স্টাম্পড করেন। এর পরে, ওভারের শেষ বলে, রিঙ্কু সুধাংশু সোনকারকেও আউট করেন এবং এটি কানপুরের স্কোরকে ৬১ রানে ৩ উইকেট থেকে ৬৮ রানে ৬ তে নামিয়ে আনে।
প্রথমে ব্যাট করে ৯ ওভারে ৩ উইকেটে ৯০ রান তোলে মিরাটের দল। মাধব কৌশিক ব্যাট হাতে ২৬ বলে ৫২ রান করেন। বৃষ্টির ফলে জয়ের জন্য ৯ ওভারে ১০৬ রানের টার্গেট পায় কানপুর। অষ্টম ওভারের মধ্যে সব উইকেট হারিয়ে ৮৩ রান করে কানপুর। ডাকওয়ার্থ-লুইস নিয়মে ২২ রানে ম্যাচ জিতে নেয় মিরাট। রিঙ্কু ছাড়াও জিশান আনসারি নেন ৩টি উইকেট।