“নায়ক” উপেক্ষিত, “খলনায়ক” আমন্ত্রিত।ইতিহাসকে উপেক্ষা করে ইতিহাস লেখার চেষ্টায় বারংবার মুখ থুবড়ে পড়ছে “নতুন ভারত”।
এই বছর বিশ্বকাপকে স্মরনীয় করে রাখতে বিসিসিআই একাধিক অনুষ্ঠান আয়োজন করে। এমনকি টুর্নামেন্টের ফাইনালে সমস্ত বিশ্বকাপ জয়ী দলের অধিনায়কে আমন্ত্রণ জানানো হয়।

আধুনিক ভারতের ক্রিকেট যতটা সহজে এগিয়ে চলেছে তার ইতিহাস এতটা সহজ ছিলো না। ১৯৮৩ সালে ভারতীয় দল প্রথম ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে একদিনের ক্রিকেট বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়। সেই বছর কপিল দেবের (Kapil Dev) নেতৃত্বে শূন্য থেকে টুর্নামেন্টে ঘুরে দাঁড়িয়ে ব্লু ব্রিগেড প্রথম বিশ্ব ক্রিকেটে নিজেদের অবস্থান ঠিক করে দিয়েছিলো। তবে এই বছর ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিত হওয়া বিশ্বকাপের (World Cup 2023) ফাইনালে স্বয়ং বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক কপিল দেবকেই আমন্ত্রণ জানানো হলো না।
এই বছর বিশ্বকাপকে স্মরনীয় করে রাখতে বিসিসিআই (BCCI) একাধিক অনুষ্ঠান আয়োজন করে। এমনকি টুর্নামেন্টের ফাইনালে সমস্ত বিশ্বকাপ জয়ী দলের অধিনায়কে আমন্ত্রণ জানানো হয়। অন্যদিকে ২০১১ সালের পর ভারত আবার এই বছর বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার (India vs Australia Match) মুখোমুখি হয়েছিলো। তাই প্রতিটি ক্রিকেট প্রেমী নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে সামনাসামনি এই ম্যাচ দেখার আগ্ৰহ প্রকাশ করেছিলেন। তবে এর মধ্যেই বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক কপিল দেব তাকে এই ম্যাচে আমন্ত্রণ করা হয়নি বলে অভিযোগ তুললেন।
সম্প্রতি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “আমাকে ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। একেবারেই সহজ সমীকরণ, তারা আমাকে ডাকেনি তাই আমি যাইনি। আমি চেয়েছিলাম পুরো ৮৩-এর বিশ্বকাপ জয়ী দল আমার সাথে থাকুক। আমার মনে হয় এতো বড়ো একটা অনুষ্ঠান, আয়োজকরা বিভিন্ন দায়িত্ব সামলাতে ব্যস্ত, কখনও কখনও তারা ভুলে যায়।”
এর পরেই ক্রিকেট মহলে এই বিষয়ে রীতিমতো সমালোচনার ঝড় ওঠে। অন্যদিকে গতকাল বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতীয় দল প্রথমে ব্যাটিং করে অস্ট্রেলিয়াকে ২৪০ রানের লক্ষ্যমাত্রা দেয়। ভারতে হয়ে বিরাট কোহলি (Virat Kohli) ৬৩ বলে ৫৪ এবং কেএল রাহুল (KL Rahul) ১০৭ বলে ৬৬ রান করেন। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ট্রেভিস হেড (Travis Head) এবং মারনাস লাবুসেনের (Marnus Labuschagne) জুটি সহজেই জয় এনে দিয়ে দলকে ষষ্ঠবারের মতো চাম্পিয়ন করে। ফলে এই বারও ভারতীয়দের কাছে চাম্পিয়ন হওয়া অধরাই থেকে গেলো।